• ঢাকা
  • |
  • রবিবার ১০ই কার্তিক ১৪৩২ রাত ০১:৪১:২৬ (26-Oct-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

বাগাতিপাড়ার আব্দুল বারীর হাতে কৃষিতে নতুন দিগন্ত

নাটোর প্রতিনিধি: একসময় সংসারের অভাব-অনটনে নুয়ে ছিল জীবন। এখন সেই মানুষই শতাধিক পরিবারের জীবিকার উৎস।নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার খন্দকার মালঞ্চি গ্রামের আব্দুল বারী বাকিবিল্লাহর জীবনের গল্প যেন এক প্রেরণার উৎস। নিজের পরিশ্রম, সাহস আর আত্মবিশ্বাসে গড়ে তুলেছেন‘রিক্ত-বিত্ত কৃষি খামার।’দারিদ্র্যের কারণে কলেজের পড়ালেখা শেষ করতে না পেরে মাত্র আড়াই বিঘা জমির মধ্যে শুরু করেন পেঁপে চাষ। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।প্রতিদিন এই খামারে কাজ করেন প্রায় ১০০ শ্রমিক। বর্তমানে তার খামারে রয়েছে মাল্টা, ড্রাগন, পেয়ারা, বারোমাসি আম, কলা, কমলা, আনারসসহ নানা জাতের ফল।প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে চাষ হয় এসব ফল। শুধু মাল্টার চাষই রয়েছে ৪৫ বিঘা জমিতে। যা থেকে চলতি মৌসুমে আয় হতে পারে প্রায় কোটি টাকা।নিজের সংগ্রামের গল্প বলতে গিয়ে আব্দুল বারী বলেন, ‘চাকরির আশায় বসে থাকলে আজ আমি কিছুই হতে পারতাম না। ঝুঁকি নিয়েই আমি সফল হয়েছি। আল্লাহর উপর ভরসা রেখে পরিশ্রম করলে সাফল্য আসবেই।’ফল ব্যবসায়ী মাসিদুল ইসলাম শিপন জানান, ‘এই বাগানের ফল একদম ভেজালমুক্ত। আমি প্রতিদিন এখান থেকে ১০০ মণ পেয়ারা ও ৬০-৭০ মণ মাল্টা ঢাকায় পাঠাই। বাজারে এর চাহিদা অনেক।’উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. ভবসিন্ধু রায় বলেন, ‘তিনি শুধু একজন সফল চাষি নন, বরং একটি ফল হাব গড়ে তুলেছেন। পুষ্টি নিরাপত্তা ও কর্মসংস্থানে তার অবদান অসাধারণ। আমরা তার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির জন্য সুপারিশ করেছি।’নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. হাবিবুল ইসলাম খান বলেন, ‘বাকিবিল্লাহর মাল্টা বাগান দেখলে বোঝা যায় বাংলাদেশের মাটিতে বিদেশি ফল উৎপাদন কতটা সম্ভাবনাময়। আমরা তাকে সবধরনের প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছি।’