• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ১৪ই কার্তিক ১৪৩২ রাত ০৩:৩৪:৩২ (30-Oct-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

খোকসায় ধীরে ধীরে কমছে সুপারি উৎপাদন

খোকসা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার সবচেয়ে ছোট উপজেলা খোকসার পান ও সুপারির প্রাচুর্য বহু পুরোনো ঐতিহ্য। কিন্তু ধান ও পাট উৎপাদনে সরকারের সক্রিয় তদারকি থাকলেও উপজেলার অন্যতম অর্থকরী ফসল সুপারির ক্ষেত্রে নেই কোনো নজরদারি বা সহায়তা। এতে হতাশ চাষিরা।উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছরে ১ হেক্টর জমিতে প্রায় ৮ মেট্রিক টন কাঁচা-পাকা সুপারি উৎপাদন হয়েছে। শুকানোর পর যা ৫ মেট্রিক টনে দাঁড়ায়।চাষিদের অভিযোগ, আগে নিজেদের প্রচেষ্টায় এই ফসল বাণিজ্যিকভাবে হলেও কৃষি বিভাগের কোনো তদারকি, প্রশিক্ষণ বা গবেষণা কার্যক্রম নেই। ফলে রোগবালাই ও বিপণন সমস্যায় উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে।উপজেলার জানিপুর ইউনিয়নের চাষি ভিক্টর বিশ্বাস বলেন, 'কয়েক বছর আগে আমার দেড় একর জমিতে ১ হাজার ৫০০টি সুপারি গাছ ছিলো। পাতার রোগে শতাধিক গাছ মারা গেছে। কৃষি অফিসে গিয়েও কোনো সহায়তা পাইনি।'আমবাড়িয়া ইউনিয়নের চাষি সাবু আলম বলেন, 'আমরা নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে চাষ করি। ফলন বাড়ানো বা রোগ দমনের পরামর্শ নিয়ে কেউ আসে না। সরকারি সহযোগিতা পেলে উৎপাদন করা সম্ভব।'চাষিরা জানায়, স্থানীয়ভাবে সুপারি বিক্রি হয় আকার হিসেবে। আকার ভেদে প্রতি শ’ সুপারি বিক্রি হয় ৩ থেকে ৫শ’ টাকায়।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল নোমান এশিয়ান টিভিকে বলেন, 'সুপারির উৎপাদন বৃদ্ধিতে আমরা কাজ করে চলেছি।'