 
                        
                        
                        
                        নিজস্ব প্রতিবেদক: পুরান ঢাকায় আবারও বাসার সিঁড়ি থেকে গলায় জিআই তার পেঁচানো এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
২৫ অক্টোবর শনিবার বিকেলের দিকে বংশালের আগামসিহ লেনের ৯৩/১ নম্বর বাসার চারতলার সিঁড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।


নিহত শিক্ষার্থীর নাম সজিব (১৯)। তিনি এবার বংশালে আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন।

সজিবের পরিবারের অভিযোগ, প্রেমিকার বাসায় ডেকে নিয়ে খাদিজার দুই মামা ইকবাল ও কামাল মিলে সজিবকে শ্বাশরোধ করে হত্যা করেছে।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বংশাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. দুলাল হক বলেন, বিকেলে স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই বাসার চারতলার সিঁড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছি। প্রথমে অজ্ঞাতনামা হিসেবে এবং পরে মোবাইলের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত হয়।
এ সময় সে গলায় জিআই তার পেঁচানো অবস্থায় উপুড় হয়ে সিঁড়িতে পড়ে ছিল। তবে ওই বাসার চারতলায় শুধু একটি পরিবার থাকত বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ওই বাসা পুরোটাই গোডাউন। চারতলার ওই বাসা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ ছিল।
তিনি আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে, ওই শিক্ষার্থীকে গলায় জিআই তার পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
 
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালে নিহত সজিবের চাচাতো ভাই মো. ইসলাম বলেন, সজিবদের বাসা বংশাল আগামসিহ লেনে। সজিব এবার আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। তবে সে অকৃতকার্য হয়। কয়েক দিন আগে তাবলিগের সঙ্গে দোহার গিয়েছিল। গতকাল বাসায় আসে। আজ বেলা ৩টার দিকে ফোন পেয়ে বাসা থেকে বের হয়। এরপর বিকেলে জানতে পারি, একটি বাসার সিঁড়িতে সজিবের মরদেহ পাওয়া গেছে। 
তিনি আরও বলেন, যে বাসায় সজিবের মরদেহ পাওয়া গেছে, ঘটনার পর থেকে ওই বাসার চারতলায় সজিবের প্রেমিকা খাদিজাদের বাসায় কাউকে পাওয়া যায়নি। ৬ বছর ধরে খাদিজার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সজিবের। মাঝে একবার মনোমালিন্য হয়েছিল। তবে খাদিজার মামারা এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারছিলেন না বলেও জানান মো. ইসলাম।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available